আইন ও বিচার

অঝোরে কান্না করলেন ওসি প্রদীপ

টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় অঝোরে কেঁদেছেন। তিনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি। এদিন সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ নভেম্বর, সন্ধ্যার দিকে আদালতের কার্যক্রম শেষ হয়। সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের এজলাস থেকে বের করে পুলিশের প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই সময় প্রদীপ দাসকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। এর আগে কখনো এমন দৃশ্য কেউ দেখেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত থেকে বের হওয়ার সময় হাতকড়া পরানো ওসি প্রদীপের দুই পাশে ছিলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াস এবং পরিদর্শক হাফিজুর রহমান। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আনা-নেওয়ার সময় এর আগে ওসি প্রদীপ এভাবে প্রকাশ্যে কখনো কাঁদেননি।

এ বিষয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, আসামি ওসি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে, মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় শিগগিরই নিজ অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করার অপরাধে তাকে যে নিশ্চিতভাবে শাস্তি ভোগ করতে হবে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন এবং সে কারণেই হয়তো তিনি কেঁদেছেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যাি করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 1 =

Back to top button