অনাত্মীয় হলেও রোগীকে কিডনি দেয়ার বৈধতা দিয়ে আদালতের রায়
বাংলাদেশের হাইকোর্ট কোনো ব্যক্তি আত্মীয় না হলেও তাকে কিডনি দান করার বিধান রেখে আইন সংশোধনের রায় দিয়েছে।
বাংলাদেশে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯ এর তিনটি ধারাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের ওপর আজ আদালত এই রায় দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, নিকটাত্মীয়ের বাইরেও বা মানবিক ও সহানুভূতিশীল যে কেউ চাইলে কিডনি দান করতে পারবেন।
২০১৮ সালে আইনের একটি সংশোধনী অনুযায়ী ২৩ জন নিকট আত্মীয়ের বাইরে কেউ একজন রোগীকে কিডনি দান করতে পারতেন না।
এবার আরেক দফা ঐ আইন সংশোধনের পর কিডনির প্রতিস্থাপন আগের চাইতে সহজ হবে বলে মনে করেন রিটকারী আইনজীবী রাশনা ইমাম।
রাশনা ইমাম বলেন, “আইনে এতোদিন বলা হয়েছে নিকট আত্মীয় ছাড়া কেউ অঙ্গ দান করতে পারবেনা। অনেক সময়ই নিকটাত্মীয়দের মধ্যে ম্যাচ পাওয়া যায় না। আবার ম্যাচ পাওয়া গেলে তাদের সদিচ্ছার অভাব থাকতে পারে। তাই কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদের এই নিকটাত্মীয়দের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন ছিল।”
তবে এই সুযোগের যেন অপব্যবহার না হয় সেক্ষেত্রে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং এই ক্ষেত্রে যে হাসপাতালগুলো কিডনি প্রতিস্থাপন হবে সেখানে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বল মনে করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম।
সংশোধিত নতুন আইনে আরো সুস্পষ্ট নীতিমালাও সংযুক্ত করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। (বিবিসি বাংলা, ঢাকা)