অসুস্থ মায়ের খেয়াল না রাখায় তিন স্ত্রীকে তালাক
তিন ভাই একসঙ্গে তাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন। কয়েক মাসের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। । অসুস্থ শাশুড়ির দেখাশোনা করেন না। এমনকি, নিজেদের কাজও করেন না। এমন অভিযোগে তিন ভাই মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তাদের স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র আলজেরিয়ায়। তিন ভাইয়ের বক্তব্য, তারা কাজের সূত্রে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন। তাদের বিবাহিতা বোন সপ্তাহে দু-তিন দিন করে তাদের বাড়িতে আসেন। মায়ের দেখাশোনা করেন। বাড়ি এসে তিন ভাই দেখেন যে, তাদের স্ত্রীরা বাড়িতে নেই। অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করছেন এক প্রতিবেশী।
আনন্দবাজার সংবাদমাধ্যম এর খবর এর তথ্য মতে, তিন ভাই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের একটাই কারণ বলে জানিয়েছেন। তাদের স্ত্রীরা অসুস্থ শাশুড়িকে অবহেলা করতেন। বৃদ্ধার গোসল, খাওয়া-দাওয়া ও কোনও কিছুর দিকেই স্ত্রীদের নজর ছিলো না, এ নিয়ে অশান্তি হতো। কিন্তু তিন ভাই একত্রে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে। কয়েক দিন আগে তিন ভাই একসঙ্গে কর্মক্ষেত্রে থেকে বাড়ি ফেরেন। সাধারণত যে সময়ে তারা বাড়িতে আসেন, সে দিন তারা আগেই চলে এসেছিলেন। কিন্তু ঘরে ঢুকেই রেগে যান তিন ভাই। তারা দেখেন, তাদের অসুস্থ মায়ের সেবা করছেন এক প্রতিবেশী। বাড়ির তিন বৌয়ের কেউই নেই। এরপর প্রতিবেশীর কাছে তারা জানতে পারেন, প্রায় দিনই বৌয়েরা বাড়িতে থাকেন না। তখন হয় তিনি, নয়তো বৃদ্ধার ছোট মেয়ে এসে মায়ের সেবা করেন।
তিন ভাই জানান, তারা কাজের সূত্রে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন। তাদের বিবাহিতা বোন সপ্তাহে দু -তিন দিন করে তাদের বাড়িতে আসেন। মায়ের দেখাশোনা করেন। নিজের হাতে গোসল ও খাবার খাওয়ান মাকে।
অন্য দিকে, বোনের স্বামী ক্যানসার আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও মায়ের জন্য সময় বের করে ছুটে আসেন বোন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বোনের স্বামী অসুস্থ বলে তিনি মায়ের কাছে আসতে পারছেন না। তাই স্ত্রীদের মায়ের খেয়াল রাখার জন্য বলেছিলেন তিন ভাই, কিন্তু কেউ সেই কথা রাখেননি। তাই পর পর তিন ভাই তাদের তিন স্ত্রীকে ‘তালাক’ দেন।