BreakingLead Newsশিল্প ও বাণিজ্য

আকুর ১১৯ কোটি ডলার পরিশোধ; রিজার্ভে চাপ আরও বাড়বে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ আরও বাড়বে। আজ সোমবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১১৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হবে।

এ অর্থ বাদ দিলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাবে। রিজার্ভ ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামতে পারে বা ৩০ বিলিয়নের সামান্য উপরে থাকতে পারে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে তিন হাজার ৯৮ কোটি ডলার। এখান থেকে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের দেনা বাবদ আকুকে ১১৯ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে।

তাই সোমবার দিন শেষে প্রকৃত রিজার্ভ কমে যাবে। বর্তমানে রিজার্ভ ওই ডলার পরিশোধের পর দুই হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার থাকার কথা। কিন্তু রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাবদ আরও কিছু ডলার রিজার্ভে যোগ হতে পারে আজ।

ফলে প্রকৃত রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আকুর সঙ্গে বাকিতে লেনদেন করে এর সদস্য দেশগুলো।

প্রতি দুই মাস পরপর লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়। সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে। এ কারণে প্রতি কিস্তিতেই বাংলাদেশকে মোটা অঙ্কের দেনা শোধ করতে হয়।

আকুর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ইরান ও মিয়ানমার। শ্রীলংকাও আকুর সদস্য ছিল। অর্থনৈতিক মন্দায় তারা নিয়মিত দেনা পরিশোধ করতে না পারায় সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

সূত্র জানায়, আকুর দেনা পরিশোধের জন্য গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি আজ সোমবার কার্যকর হবে। অর্থাৎ রিজার্ভ থেকে ওই অর্থ কেটে নিয়ে আকুর হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।

ফলে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১১৯ কোটি ডলার কমে যাবে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হলে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে থাকবে। তা না হলে ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে যাবে।

আইএমএফ গত মার্চে নিট হিসাবে সর্বনিম্ন দুই হাজার ২৯৫ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নিট হিসাবে দুুই হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছে।

আগামী সেপ্টেম্বরে নিট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে দুই হাজার ৫৩২ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে দুই হাজার ৬৪১ কোটি ডলারে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সে লক্ষ্যমাত্রা আপাতত পূরণ করতে পারছে না।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী জুনের মধ্যে অনেক অনুদান ও ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করছেন। এগুলোর অর্থও আসবে। ফলে আশা করা যায় জুনের মধ্যে রিজার্ভে ইতিবাচক উন্নতি ঘটবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =

Back to top button