আগামী রোববারের মধ্যেই দেশে আসছে অর্ধ কোটি টিকা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও ৫৪ লাখ টিকা রোববারের মধ্যে দেশে আসছে।
টিকার ঘাটতি পূরণে চীন থেকে ৩ কোটি বাড়িয়ে ৬ কোটি টিকা কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি শিগগিরই অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাস হবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ৩৪ লাখ টিকা পৌঁছাবে। চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা পৌঁছাবে। আরও ১০ লাখ চীন থেকে উপহার হিসেবে দেয়া হবে। অর্থাৎ আরও ৫৪ লাখ টিকা এ সময়ের মধ্যে দেশে আসবে।
উল্লেখিত টিকার চালান দেশে পৌঁছালে টিকা কার্যক্রমের গতি ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেগুলো আমরা ক্রয় করেছি, চীন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, আরও তারা ৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আমাদেরকে দেবে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকেও আমরা পেতে পারি, যার সংখ্যা এখনও আমাদের জানানো হয়নি।’
এ সময় চীন থেকে নতুন টিকা কেনার সিদ্ধান্তের কথাও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে আমরা পাই। কিন্তু সংখ্যায় একসঙ্গে অনেক বেশি পাই না। সে কারণে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে, উনার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চায়নার সঙ্গে আলোচনা করে, আরও ৬ কোটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। ‘চায়না থেকেও সেই অনুমোদন তারা দিয়েছে। এখন আমরা চুক্তির পর্যায়ে আছি। অর্থনৈতিক কমিটিতে গিয়ে সেটা পাস হয়ে যাবে। সেই টিকা আসলে আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে। টিকা কার্যক্রম জোরদার হবে।’
সেই টিকা কীভাবে পাওয়া যাবে তার ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সেই ভ্যাকসিন তারা দেবে বলেছে। আমাদের এ মাসে যতটা সম্ভব পারে, দেবে। আর সেপ্টেম্বরে কথাও বলেছে চায়না। আমাদের ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন তারা দেবে এবং অক্টোবরে দেবে ২০ মিলিয়ন। আর নভেম্বরে ২০ মিলিয়ন।
‘এ যাবত আমরা তাদের কাছে এই তথ্য পেয়েছি। পাশাপাশি কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন আসবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছয় মিলিয়ন (৬০ লাখ)। সেটাও আমরা পাব।’ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার অবশিষ্ট ২ কোটি ৩০ লাখ টিকা পাওয়ার আশাও করছে সরকার। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তারিখ পাওয়া যায়নি, তবে সময় এসে গেছে পাওয়ার।