আফগানিস্তানে নারীশিক্ষার চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করেছে তালেবান সরকার
আশায় বুক বাঁধছে আফগান নারীরা। আবার স্কুলে যেতে পারবে তারা। কারণ, দেশটির মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের মেয়েদের শিক্ষাসংক্রান্ত রূপরেখা চূড়ান্ত করছে তালেবান। শিগগিরই তা ঘোষণা করবে তারা।জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রোববার এ খবর দিয়েছে এএফপি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক ওমর আবদি শুক্রবার জানান, তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী তাদের বলেছেন, ‘তালেবান শিক্ষার একটি কাঠামো নিয়ে কাজ করছেন, যে কাঠামো আফগান মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। তারা আশা করছেন, এটি শিগগির এ ঘোষণা আসবে। গত সপ্তাহে কাবুল সফর করেছিলেন জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে পাঁচটি প্রদেশে (উত্তর-পশ্চিমে বালখ, জাভজান এবং সামঙ্গান, উত্তর-পূর্বে কুন্দুজ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে উরোজগান) ইতোমধ্যেই মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ‘শুধু ৫টি প্রদেশ নয়, জাতিসংঘ চায় সারা দেশেই মেয়েরা স্কুলে যাবে’, বলেন ওমর আবদি।
তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী জাতিসংঘের এই কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, নতুন কাঠামোতে ষষ্ঠ শ্রেণির পরের ক্লাসগুলোতে পড়ার জন্য যেন স্কুলে যেতে পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন তারা। ইসলামি শরিয়া বহাল রেখে মেয়েরা কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে আইন তৈরি করছে তালেবান। দু-এক মাসের মধ্যেই যেন রূপরেখা বা কাঠামোটি প্রকাশ করা যায় সে বিষয়ে শিক্ষমন্ত্রীকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান। ছেলেদের স্কুল খোলার ৪ সপ্তাহ পর এই প্রথম মেয়েদের ব্যাপারে মুখ খুলল তালেবান।
আবদি শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘আমি আজ আপনার সঙ্গে কথা বলছি। এরই মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল বয়সের লাখ লাখ শিক্ষার্থী গত ২৭ দিন স্কুলে যেতে পারেনি। শিক্ষা থেকে তারা বঞ্চিত।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের অপেক্ষা না করার জন্য অনুরোধ করছি। বলেছি, একদিন অপেক্ষা করা মানে ওই একটি দিন মেয়েদের শিক্ষাজীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া।’