আরএসএসের ‘অখণ্ড ভারত’ উস্কানি, কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের
আবারও ভারত-পাকিস্তনের মধ্যে উত্তপ্ত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিজেপি সরকারের স্বেচ্ছাসেবক সংঘ আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত একদিন আগে অখণ্ড ভারত ইস্যুতে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেয়া নিয়ে পাকিস্তান কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
ভারতীয়দের জন্য দেশ ভাগ ‘কষ্টের’ দাবি করে আরএসএস প্রধান বলেন, পূর্বের অবস্থায় ফিরলেই কেবল এই কষ্ট দূর হবে। প্রকাশ্যে তার এমন বক্তব্যের পরদিন কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ৪৭ সালে ভারত থেকে আলাদা হওয়া পাকিস্তান। তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশটি বলেছে, ভারতীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্য ওই বক্তব্য বিপজ্জনক।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুসলিমদের কোণঠাসা করতে এবং ভারত থেকে উৎখাত করতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন ভাগবত। উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। এর আগেও এ ধরনের কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।
আরএসএসের মতাদর্শী ক্ষমতাসীন বিজেপিও ‘অখণ্ড ভারতের’ ধারণা ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ভারতীয় মুসলিমদের দমানোর এমন নীতি নিয়েছে সংগঠন দুটি। এতে পুরো উপ-মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই হুমকি। এই আরএসএসের সদস্য নরেন্দ্র মোদি এখন বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া আরএসএস প্রধানের বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমে। পুরনো এই অখণ্ড ভারতের ধারণা উগ্রহিন্দুত্ববাদীরাই বেশি প্রচার করছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রবণতা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয় খবরে।
ভারতীয় উপ-মহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশের অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে। বিষয়টি উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত শুক্রবার একটি ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যে বলা হয়, ভারতের বুকে ৪৭-এর পুনরাবৃত্তি কখনো হবে না।