আলুর নির্ধারিত দাম মানছেন না বিক্রেতারা
কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করার পরও, তা মানছেন না খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাই বাড়তি দরেই আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
রাজধানীতে পেঁয়াজের জন্য লম্বা লাইন আগে থেকেই ছিলো। এখন অপেক্ষা আলুর জন্যও। প্রতি ট্রাকে মাত্র ৩০০ কেজি। দুই কেজি করে দেয়া যায় মাত্র দেড়শো জনকে। চাহিদার তুলনায় টিসিবির আলুর সরবরাহ সামান্য, তাই কম দামে পাবার আশায় লাইনে দাঁড়ালেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই।
কথা ছিলো, খুচরা বাজারে আলু মিলবে ৩৫ টাকায়। কিন্তু হাতিরপুল, মহাখালী, বনানী, গুলশানের দুই কাঁচা বাজার- কোথাও ৪৫ টাকার নিচে আলু নেই। দেখতে ভালো হলে ৬০ টাকাও দর উঠছে।
সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতি ধাপে আলুর বিক্রয় মূল্য ৫ টাকা বাড়িয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সে হিসেবে হিমাগারে প্রতি কেজি আলু ২৭, আড়তে ৩০ এবং খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা। অথচ বাস্তবে দাম মিলছে না। পাইকাররা বলছেন, হিমাগার থেকে ৩০-৩৫ টাকায় আলু আসছে আড়তে। আর খুচরা দোকানিদের কাছে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বাজার তদারকি জোরদার করা হবে। কিন্তু বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে কোনও অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা যাননি। অথচ এই সময়েই সবচেয়ে বেশি আলু কেনা-বেচা হয়।