Breakingআইন ও বিচার

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মালিকের বাসায় র‍্যাবের অভিযান

ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় এই অভিযান শুরু হয়।

র‌্যাব-২ ইউনিটের সদস্যরা মোহাম্মদপুরের বাড়ি ঘিরে রেখেছেন। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে রাসেল ও শামীমা দু’জনেই গ্রেপ্তার হতে পারেন।

আলোচিত ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করেন এক গ্রাহক। ঢাকার বাইরেও এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, “বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ বাকের এই মামলা দায়ের করেছেন।”

মামলায় ইভ্যালি এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে এক নম্বর আসামি ও চেয়ারম্যান শামীমাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলায় ইভ্যালির বেশকজন কর্মকর্তাকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে ঐ গ্রাহক উল্লেখ করেছেন, “ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাননি তিনি। নিরুপায় হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন তিনি।”

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৯ মে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ সব মূল্য বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ন পরিশোধ করেন তারা।

পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আরিফরা।

একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য প্রদান ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান আরিফ ও তার বন্ধুরা।

মামলার এজাহারে আরিফ বলেন, “ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমাদের পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমাদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান সহ চরম দুর্ব্যবহার করেন রাসেল। এতে আমরা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায় আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + eleven =

Back to top button