রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবারে অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ভর্তির পরই সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সোমবার সকালে ভর্তির পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে শেরে-বাংলা নগর থানা পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম।
হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এসময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন, সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=lGW3WRPzc-g[/embedyt]জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। পারিবারিক জটিলতায় কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
রাতে ওই হাসপাতালে গেলে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে তার নিজবাড়িতে আনিসুল করিমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।