জাতীয়

এখন থেকে মাস্ক ছাড়া দোকান-মার্কেট-বিপণিবিতানে পণ্য বিক্রি বন্ধ

‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে দোকান-মার্কেট-বিপণিবিতানে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করলে পণ্য বিক্রি করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। সরকারের ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতির প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে সব ধরনের দোকান-মার্কেট-বিপণিবিতানে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ রোববার এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

সমিতির পক্ষ থেকে তিন দফা দাবিতে করা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ থেকে মাস্ক পরা ছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের মার্কেটে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে ২০২১ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশে দেশে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ায় আসন্ন শীত মৌসুম সামনে রেখে সরকার সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি বাস্তবায়নে এটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

করোনার টিকা এখনো বাজারে না আসায় ‘এই মুহূর্তের ভ্যাকসিন, মাস্ক দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন’ স্লোগান নির্ধারণ করেছে দোকান মালিক সমিতি। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও মাস্ক ছাড়া প্রতিষ্ঠানে কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার জন্য সারা দেশের দোকান-মার্কেট-বিপণিবিতানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সমিতির তিন দফা দাবি হলো – ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দোকান মালিকদের টার্নওভার ভ্যাটমুক্ত রাখা, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করোনার প্রণোদনা পেতে ট্রেড লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার এবং ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ সচেতনতা বাড়ানো। এসব দাবিতে করা সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ছাড়াও মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।

এর আগে করোনা মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছে সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার একাধিক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সব মন্ত্রণালয়, বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে মাস্ক না পরলে কাউকে কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না দেয়ার পাশাপাশি যেকোনো অনুষ্ঠান বা মসজিদেও নামাজের সময় মাস্ক পড়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সরকারি এ নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে, দরকার হলে আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − seven =

Back to top button