রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) এর গ্রাজুয়েটদের প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করি, এই সম্মানজনক কোর্সটি তাদেরকে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে।’ মঙ্গলবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এনডিসি ও এএফডব্লিউ কোর্স-২০২২ এর গ্রাজুয়েটরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
বাসস’র খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করায় এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এনডিসিতে অবস্থানকালে আপনারা অত্যন্ত মূল্যবান পেশাগত জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং এখান থেকে আপনাদের জ্ঞানভাণ্ডারে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দীক্ষিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সক্রিয় অংশীদার হতে- সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, বেশকিছু বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আমি গর্বের সাথে জানাচ্ছি যে, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও পেশাগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিশ্বশান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।’
বর্তমান বিশ্ব উদ্ভাবন, পরিবর্তন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতার বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও বজায় রাখতে সদাতৎপর। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই পরিবর্তিত বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এজন্য, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও জাতীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য একই সাথে অর্থনৈতিক মুক্তি, জাতীয় উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবদুল হামিদ বলেন, এখানে অবস্থানকালে এই গ্রাজুয়েটদের হৃদয়ে বাংলাদেশের প্রতি মমতা ও এ দেশকে মূল্যায়ণের বোধ সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আমাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করতে সহায়ক হবে।এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ৩২ বিদেশী অংশগ্রহণকারী কোর্সগুলোতে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আকবর হোসেন, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।