এলপিজির বাজারে শৃঙ্খলা আনার আহ্বান
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের বাজারে শৃঙ্খলা আনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাথে আমরা সক্রিয় নিবন্ধিত গ্রাহক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছি দীর্ঘদিন যাবত।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)সহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে এলপিজি ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণ শুনানি অনুষ্ঠিত করে এবং গত ১০ অক্টোবর ১২ এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য ১২৫৯ টাকা এবং অটো গ্যাসের মূল্য ৮.১২ টাকা বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা নির্ধারণ করে কমিশন।
গণশুনানিতে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক অবস্থান এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে সমন্বয় সাধন করে মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলাম।
একথা ঠিক যে আন্তর্জাতিক বাজারে বিউটেন ও প্রোপেনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মানে এই নয় যে ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য এক লাফে ২২৬ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে।
“আমাদের প্রস্তাব কমিশন মূল্যায়ন করেনি ঠিক একইভাবে তাদের নিজস্ব কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির করার প্রস্তাব ১০৯৮ টাকা ও রাখা হয়নি।”
এটাই প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় স্বার্থ ও জনস্বার্থ মূল্যায়ন না করে কেবলমাত্র এলপিজি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করাই ছিল এই গণশুনানির অন্যতম উদ্দেশ্য।
“আমরা এও বলেছিলাম যে ডিসট্রিবিউশন কমিশন, ডিলার ও রিটেইলারদের জন্যে নির্ধারিত কমিশন ছাড়াও খুচরা পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের চাইতেও অতিরিক্ত মাশুল আদায় করা হয়ে থাকে।”
এক্ষেত্রে অপারেটরদের দাবি ছিল এসব চার্জ আরো বৃদ্ধি করার। গত ১০ অক্টোবর বিকাল থেকে বাজারে প্রতিটি সিলিন্ডারের মূল্য ১৩৫০-১৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। ডিলার রিটেলার রা গ্রাহকদের কোন রশিদ প্রদান করছে না এমনটাই আমাদের বাজার পরিদর্শনে উঠে এসেছে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সাথে সাথে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে দ্রুত বাজার পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বানও জানিয়েছে মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশন।