শিক্ষাঙ্গন

ওমিক্রন ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসের দিন না বাড়ানোর নির্দেশ

করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ‘ওমিক্রন’ বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে দেশে স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাসের দিন না বাড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থাকবে। আর যেন সময় বা ক্লাসের দিন বাড়ানো না হয়।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ষাটোর্ধ্বরা পাবেন বুস্টার ডোজ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সীরাই করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সংক্রমণ রোধে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, নো মাস্ক নো সার্ভিস নয় এখন সরকার বলতে চায়, নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস।

করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‌‘ওমিক্রন’ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনার প্রকোপ কমায় যে ঢিলেঢালাভাব চলে এসেছে তা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া হবে।

বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. ‍মুশতাক হোসেন বলেছিলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে এই মুহূর্তে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা একদম টিকা পায়নি তাদের এই মুহূর্তে টিকার আওতায় আনা জরুরি। নির্দিষ্ট সবাইকে টিকা দেওয়ার পর আরও উন্নত সংস্করণের টিকা আসবে, তখন বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখি যে অনেকেরই কোমরবিডিটি কন্ডিশন থাকে, এছাড়াও বয়স্কদের ক্ষেত্রে যাদের চিকিৎসকের বুস্টার ডোজের ব্যাপারে সুপারিশ থাকে, তাদেরকে দেওয়া যেতে পারে। যদি কোনো লোকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, এক কথায় তার ক্লিনিক্যাল কন্ডিশনের কারণে যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয়, শুধুমাত্র তাদেরই দেওয়া যেতে পারে। কারণ করোনায় তাদের মৃত্যু হার অনেক বেশি। যে কারণে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় ঝুঁকিও তাদের বেশি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =

Back to top button