করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী নিউজিল্যান্ডঃ জেসিন্ডা
করোনাভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকিয়ে কোভিড-১৯ কার্যকরভাবে নির্মূল করা গেছে বলে দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। তিনি বলেছেন যে তাঁর দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু শনাক্ত হয়নি—এমন একটি ঘটনাও নেই। নিউজিল্যান্ড এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে।
তবে এই ভাইরাসে নির্মূলের ব্যাপারে কর্মকর্তাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এর মানে এই নয় যে, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পুরোপুরি অবসান ঘটেছে।
আজ মধ্যরাতে দেশব্যাপী চালু থাকা লকডাউন কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে। তাতে মঙ্গলবার থেকে সংসদ ও আদালত আবার খুলবে। শর্তসাপেক্ষে ৪ লাখ মানুষ আবার কাজে ফিরবে। এতদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল মুখরিত হবে বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড়ে
গত ২৬ মার্চ থেকে ঘরবন্দি মানুষের মনে তাই ফিরছে স্বস্তি। অবশ্য দোকানপাট ও রেস্তোঁরা খুলছে না। লোকজন মাছ ধরার পাশাপাশি সার্ফিং, হাইকিং ও শিকার করতে পারবে।
লকডাউনের তৃতীয় স্তর থাকবে ১১ মে পর্যন্ত। তারপর মন্ত্রিপরিষদ এটা আরো বাড়ানোর কিংবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড বলেছেন, তাদের দেশ ‘ভাইরাস নিমূর্ল করার’ যে লক্ষ্য নিয়েছিল, তা অর্জিত হয়েছে।
ব্লুমফিল্ড বলেন, তাঁদের দেশের একজন রোগীও যে নেই, বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু এটি কোত্থেকে এসেছে, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হতে পেরেছেন। আজ সোমবার করোনা ভাইরাসে একজন নতুন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে, একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজরের কম। দেশটিতে আক্রান্ত ৮০ ভাগ রোগী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় মারা গেছে ১৯ জন।