মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান, সমাজসেবী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মফচ্ছিল আলীর মৃত্যুর পর পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
মফচ্ছিল আলী গতকাল সোমবার বিকেলে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। তবে পরিবার বা আইইডিসিআর সূত্রে এখনও এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সৈয়দ মফচ্ছিল আলী মারা গেছেন।
গত ২ এপ্রিল তিনি ত্রাণ বিতরণের জন্য মৌলভীবাজারে এসেছিলেন। তারপর আর কথা হয়নি। লাশ মৌলভীবাজারে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আইইডিসিআরের আপত্তি থাকায় ঢাকায় রাত ৯টায় দাফন সম্পন্ন হয়।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদ আহমদ বলেন, সৈয়দ মফচ্ছিল আলী বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন। জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসার কথা মঙ্গলবার দুপুরে ফোনে তারা আমাকে জানিয়েছে। তবে সরকার বাদ বাকি করণীয় নির্ধারণ করবে।
সৈয়দ মফচ্ছিল আলীর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ ভাই-বোন ও অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার সৈয়দ নাসিফ আলী হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ধরকাপন এলাকায়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় তিনি বসবাস করতেন।
সৈয়দ মফচ্ছিল আলীর চাচা সৈয়দ আমজদ আলী মৌলভীবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি সাংবাদিক মহসীন পারভেজের ছোট ভাই। মরহুম মফচ্ছিল আলী মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
তা ছাড়াও তিনি মৌলভীবাজার জেলা ও জেলার বাইরে শ্রমিক সংগঠনসহ প্রায় ৮০টি সংগঠনের উপদেষ্টা, সভাপতি এবং সম্পাদক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।