করোনা নিয়ে জাতিসংঘে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাকযুদ্ধ
মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব মহামারীর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করলে উত্তেজনা শুরু হয় জাতিসংঘ অধিবেশনে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে মহামারীর জন্য চীনকে ‘জবাবদিহি’ করার আহ্বান জানান। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার বক্তব্যে বলেন: কোনো দেশের সাথে শীতলযুদ্ধে যাওয়ার মতো কোনো ইচ্ছা চীনের নেই।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই দুই পরাশক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক এখন চরম বৈরিপূর্ণ। বিশ্ব বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস ইস্যু।
জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প যথারীতি তার অর্জনগুলো জোর গলায় তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ চীনের বিরুদ্ধে চরম বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন: করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য চীনকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
তার এই বক্তব্যেরে পক্ষে যুক্তি দিয়ে ট্রাম্প বলেন: ভাইরাসের শুরুর দিকের দিনগুলোতে চীন দেশের মধ্যে ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে চীন ত্যাগ এবং বিশ্বকে সংক্রমিত করতে ফ্লাইট চালু রেখেছে। এমনকি চীন যখন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল এবং নাগরিকদের ঘরে আটকে দিয়েছে তখনও তারা তাদের দেশে আমার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে।
ট্রাম্পের বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যের পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর বক্তব্য ছিলো তুলনামূলক শান্ত ও মার্জিত।
তিনি সভ্যতার সংঘাতের ঝুঁকির বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক করে কথা বলেন। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে মতবিরোধ ও বিতর্কের অবসানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন শি জিনপিং।
সেই সাথে সতর্কও করে দিয়ে বলেন: বৈশ্বিক বিষয়ে প্রভাবিত করার অধিকার কোনো দেশের নেই। অন্যদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ বা শুধু নিজের উন্নয়নের জন্য কোনো দেশ সুবিধা নিতে পারবে না।
করোনা মহামারীর কারণে এ বছর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব নেতারা আগে রেকর্ড করা বক্তব্য প্রদান করছেন। প্রতিটি সদস্য দেশের একজন করে প্রতিনিধি অধিবেশনে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফলে বাকযুদ্ধ তুলনামূলক সীমিতই রয়েছে।