বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা তো আর অনুমতি চাইব না। এবারও চাইনি, শুধু অবহিত করেছি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা মহা-সমাবেশে এসেছে তারা কোথায় থেকেছে? হোটেলে বা আত্মীয়র বাড়িতে। যাদের আত্মীয়র বাড়ি নেই তারা ফুটপাতে থেকেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। না হলে ৯০ এর মতো জেলের তালা ভেঙে আনব।
মানবাধিকার কর্মীদের জেলখানা পরিদর্শন করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, দেখেন জেলখানায় কীভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহনীয় কষ্টে আছে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। আমরা আর অনুমতি চাইব না। দেশের যেকোনো জায়গায় গণতান্ত্রিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করব, কেউ বাধা দিতে পারবে না।
নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে আব্বাস বলেন, ‘আপনারা রোদে, বৃষ্টিতে ভিজে এখানে আছেন, জানি না কী খেয়েছেন। সেই খোঁজ আমি নিতে পারিনি। কিন্তু আপনাদের চেহারা দেখে আমি উদ্বেলিত। আপনাদের দেশে মনে হচ্ছে এই সরকারের সময় নেই। সরকারের সময় শেষ।’
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নয়াপল্টন এলাকা ছাড়িয়ে ফকিরাপুল ও নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে শান্তিনগর, মৌচাক, কাকরাইল মসজিদ, সেগুন বাগিচাসহ বিজয় নগর কালভার্ট রোডে ছড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, মৌচাক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে।
মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের কয়েক হাজার সদস্য উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে। রাখা হয়েছে প্রিজনভ্যান, আর্মড ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান ও জলকামান।