লাইফস্টাইল

কীভাবে বুঝবেন শিশু বধির?

শ্রবণ শক্তি আমাদের পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই যা বিকশিত হয়। এ সময় সন্তান বহিঃপরিবেশের শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়ে থাকে।

৫ বছর বয়সে শিশুর ৮০ শতাংশ মানসিক বিকাশ সম্পন্ন হয়। কোনো শিশু যদি জন্ম থেকে কানে শুনতে না পায়, তবে কথা বলতে না পারা ও মানসিক বিকাশ বাধগ্রস্ত হয়। একে আমরা মূক ও বধির বলি।

যেভাবে বুঝবেন শিশু বধির

ছোটবেলায় অনেক শিশু ঠিকমতো কথা বলতে ও শুনতে পায় না। এ সময় পিতামাতা, নিকটজন শিশুর বধিরতা সন্দেহ করে। একজন বধির শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময়, যে কথা বলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে চেষ্টা করে লিপ রিডিংয়ের জন্য।

আবার যদি শিশু আশপাশে বড় আওয়াজ বা শব্দে চমকে না ওঠে, যদি ছয় মাস বয়সে শব্দের উৎসের দিকে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে চেষ্টা না করে, যদি এক বছর বয়সেও কোনো অর্থপূর্ণ শব্দ না বলে, যদি দুই বছর বয়সের মধ্যে দুটি শব্দের বাক্য না বলে।

কী করবেন

প্রথমে নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক বধিরতা কখন কীভাবে শুরু হয়েছে তার ইতিহাস নেবেন এবং প্রয়োজনে অডিওলজিক্যাল টেস্ট করাবেন।
কোন রোগে বধিরতা হচ্ছে, সেটি নির্ণয়ের প্রয়োজনে আরও দু-একটি টেস্ট লাগতে পারে। তা হলো- নিউরোলজিস্ট ও সাইকোলজিস্ট।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে জন্মগত বধিরতা দূর করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

লেখক:
ডা. মো. মঞ্জুরুল হাসান,
সহকারী সার্জন
এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 7 =

Back to top button