কূটনীতি

কোনদিন কোন দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে বিবৃতি দিতে দেখিনিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এটি খুবই দুঃখজনক। কোনদিন কোন দেশে রাষ্ট্রদূতদের জটলা করে বিবৃতি দিতে দেখিনি। অন্যান্য দেশেও এমন করে জটলা করে বিবৃতি দেওয়া রীতি নাই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন শনিবার  সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ঢাকাস্থ ৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের সাত রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংকটে নির্ভরযোগ্য ও প্রকৃত ঘটনা-ভিত্তিক তথ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের মতামত দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমি খুবই খুশি হতাম এ রাষ্ট্রদূতরা যদি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলতেন, রাখাইনে যে যুদ্ধ হচ্ছে তা বন্ধ করা উচিৎ- তা নিয়ে বলতেন। এটা কোনো কূটনীতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তাদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তারা তা আমাদের জানাতে পারতেন প্রটোকল মেনে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানাতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তারা রাজনীতির মহড়ায় চলে গেছেন। তারা পাবলিক স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন, না ইলেকশন করবেন?

তিনি বলেন, আমি আশা করব তারা তাদের প্রটোকল মানবেন এবং সেইভাবেই কাজ করবেন। তারা জ্ঞানী গুনীজন, তারা জানেন, বুঝেন, তাদের এ ধরনের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত নিজেদের টুইটে করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সংক্রমণের সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তব ভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁদের মতে, সংকটকালে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে জনগণের জন্য অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করাটা জরুরি।

ওই দিন মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ আলাদা আলাদা টুইট করেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সরকার মানবাধিকার কর্মী, কার্টুনিষ্ট ও ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক করে। গত বুধবার সরকার তাঁদেরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতেরা টুইটে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন করে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − one =

Back to top button