ছাত্রলীগের পদ পেতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি, সন্তানের মৃত্যু
ছাত্রলীগের নতুন করে পদ পেতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি করে সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরেদিন শনিবার (২২ জুলাই) ভুক্তভোগী নারী খিলগাঁও থানায় নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা করলে রবিবার (২৩ জুলাই) খালিদ সাইফুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ভিকটিম রুবাইয়া রীতি জানান, এক সপ্তাহের মাথায় আসামী কিভাবে জেল থেকে বের হয়। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমি চাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ গত ১৩ মার্চ রাজধানীর ফরাজী হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডাক্তার রুবাইয়া রীতিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রীতিকে নির্যাতন শুরু করেন সাইফুল্লাহ। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন রীতি। এ নিয়ে শুরু হয় সাংসারিক ঝামেলা। কেননা, বিবাহিত কোনো ছাত্রই ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পান না। তাই খালিদ সাইফুল্লাহ বারবারই গর্ভপাতের জন্য রীতিকে চাপ দিতে থাকেন।
রুবাইয়া রীতি জানান, ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন কমিটিতে আবারও পদপ্রত্যাশী ছিলেন সাইফুল্লাহ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো বিবাহিত ছাত্র ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পায় না, তাই বিয়ের বিষয়টি কখনোই সামনে আনতে চাননি সাইফুল্লাহ। এ জন্য রীতিকে কোথাও স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে চাননি তিনি। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাতের জন্য বারবার রীতিকে শাসাতে থাকেন সাইফুল্লাহ।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ৫ কোটি টাকার একটি জায়গা বায়না করতে সাইফুল্লাহর ১ কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। এ জন্য রীতিকে চাপ দিতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে শুক্রবার (২১ জুলাই) বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল্লাহ রীতির পেটে আঘাত করেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা উঠে আসে রীতির গর্ভের সন্তান মারা যায়।