প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনসমর্থন না থাকলে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। বার বার বাধা এলেও তৃণমুলে শিকড় থাকায় জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ এখনো টিকে আছে।’
মঙ্গলবার, দিবসের আলোচনায় এসব মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে একটি পারিবারিক ঘটনা বলে প্রচার করতে চেয়েছিলেন তাদের ভুল প্রমাণ করে ৩রা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি দেশকে হত্যা করা হয়েছিল।
এ সময় শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, জঙ্গিবাদ তৈরি হয় বেগম খালেদা জিয়ার আমলে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টদের নিয়ে যে দল তৈরি হয় তারা জনগণকে আর কী দিতে পারে? এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
দেশের এক শ্রেণির এলিটদের ভূমিকার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন বাংলাদেশে ছিল না। সে ব্যবসা আমি উন্মুক্ত করে দিয়েছি সবার জন্য। ড. ইউনুসও একটি মোবাইল ফোন ব্যবসা দিয়েছিলেন। সেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ড.ইউনুস এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম রাজনৈতিক দল করতে গিয়েছিল। তারা ৭০ জনের একটি লিস্ট তৈরি করে দলও করেছেন কিন্তু জনগণের কোন সাড়া পায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় তৃণমুল পর্যন্ত বিস্তৃত যা দলটির প্রধান শক্তি। জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে খুন করে ফেলা যায় কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। আওয়ামী লীগ টিকেই আছে জনগণের জন্য কাজ করার মধ্য দিয়ে।