আন্তর্জাতিক

জনসংখ্যা কমাতে চীন ‘উইঘুর নারীদের’ যা করতে বাধ্য করছে

সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের দীর্ঘদিন থেকে আটক করে নির্যাচন করে আসছে চীন। এবার দেশটির পক্ষ থেকে জনসংখ্যা কমাতে জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমান নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস ব্যবহারে বাধ্য করছে চীন।

চীনা গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘকে এ অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে এটিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি কর হয়েছে।

চীনে উইঘুরদের বন্দি শিবিরে আটকের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে চীন। ধারণা করা হয়, পুনঃশিক্ষার অজুহাতে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি শিবিরে আটক করে রেখেছে চীন।

চীনের দাবি, তাদেরকে কারিগরি শিক্ষা দিতে এই ‘পুনঃশিক্ষা’ শিবিরে রাখা হয়েছে। গত বছর বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে বেড়ে উঠতে না পারে সেজন্য উইঘুর মুসলমান সন্তানদের তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে চীন।

সরকারি আঞ্চলিক পরিসংখ্যান, নীতি নির্ধারণী নথিপত্র এবং শিনজিয়াংয়ের নারীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জেনজের প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

এতে অভিযোগ করা হয়েছে, গর্ভপাত না ঘটালে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় চীনা কর্মকর্তারা। যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের কম তাদের জরায়ুতে জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণ ডিভাইস প্রতিস্থাপনের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যা করা হয়। এছাড়া যেসব নারীর সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি তাদের বড় অংকের জরিমানা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের শেষ দিক থেকে ব্যাপক নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর শিনজিয়াং একটি নিষ্ঠুর পুলিশি রাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যক্তিস্বাধীনতায় জরদস্তিমূলক রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সর্বব্যাপী চেহারা উঠে এসেছে।’

জেনজের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিনজিয়াংয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। ২০১৫ ও ২০১৮ সালের মধ্যে উইঘুরদের দুটি অঞ্চলে জন্মহার ৮৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে এই হার আরও কমেছে।

খবরঃ বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 3 =

Back to top button