রাজনীতি

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছে আ. লীগ নেতারা

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততায় দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বুধবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর বেগম নুরজাহান মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুল মাঠে শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান।

আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচিসহ মহানগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তারেক রহমান জড়িতই যদি না থাকে, তাহলে আপনাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশ থেকে পালিয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন কেন? আসুক না, এসে আইনের মোকাবিলা করেন। সাহস থাকলে এসে প্রমাণ করেন ২১ আগস্ট হত্যার সঙ্গে জড়িত না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গ্রেনেড হামলার পর সংসদ অধিবেশনে আপনাদের চেয়ারপারসন বক্তৃতা করলেন, বললেন শেখ হাসিনা না-কি ভ্যানিটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গেছেন, এর চেয়ে লজ্জার আর কি আছে? আজ সবকিছু খোলাসা হয়ে গেছে, পরিষ্কার হয়ে গেছে মানুষের কাছে- কীভাবে হত্যার নীল নকশা হয়েছিল। কারা কারা জড়িত ছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে যারা কলকাটি নেড়েছে তাদের মুখোশ এখনো উন্মোচিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ কে করে দিয়েছিল? কে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল? এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাকে মরণোত্তর বিচার হতেই হবে। মরণোত্তর বিচার করতেই হবে। এর দাবি আমরা জানাচ্ছি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন তৈরি করতে চেয়েছিল মোশতাক জিয়া। একটি নির্বাচিত সরকারকে জোর করে বন্দুকের বেয়োনেটের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত করা হলো।

নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে বলেছিলেন, আমি বাবা হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। তার সেই আহ্বানে জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হলো। তখন আবার নতুন করে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হলো। তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে সে সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর আর খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য পিন্টু সাহেবরা সিদ্ধান্ত নিল শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর সেই পরিকল্পনায় গ্রেনেড হামলা হলো।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। তাই জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচার করতেই হবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 7 =

Back to top button