জুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত
মহানগর এলাকায় জুয়া খেলার বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনার রায় বহাল থাকবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।
ঢাকা ক্লাবের হয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। জুয়া খেলার পক্ষের মামলায় আইনজীবী হওয়ায় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আপনি এ দেশের সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অথচ আজকে আপনিই সংবিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন– এটি দুঃখজনক।
ঢাকা ক্লাব ও উত্তরা ক্লাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে ঢাকা ক্লাবসহ ১৩টি অভিজাত ক্লাব ও সারা দেশে টাকা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে তাস, ডাইস, হাউজি খেলাসহ সব ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে ক্লাবসহ জনসমাগম স্থানে জুয়ার উপকরণ পাওয়া গেলে তা জব্দ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এ ধরনের খেলার অনুমতিদাতা, খেলার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ঢাকা ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন শহরের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে এ রায় দেয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সামিউল হক ও অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মো. ফারুকের করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে টাকা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে ১৩টি ক্লাবে তাস, ডাইস ও হাউজি খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন।
একই সঙ্গে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময়ে জুয়াজাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন– তাস, ডাইস ও হাউজি খেলা এবং আয়োজকদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। পরে ক্লাবগুলোর আবেদনে আপিল বিভাগ ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয় গত ২৩ জানুয়ারি। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।