রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম কোচ ঢাকায় পৌঁছেছে। তবে এই নমুনা ট্রেনটি এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শন কেন্দ্রের ভেতরেই থাকবে এবং সেখান থেকে দর্শনার্থীদের টিকিট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, ট্রেন থেকে নামার বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রদর্শনীর জন্য কোচটি আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে। তবে নমুনা কোচ হওয়ায় মূল পরিবহন বহরে এটি যুক্ত হবে না।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর কনটেইনার থেকে মোড়ক খুলে বের করা হয়েছে কোচটি।
এ দিকে যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
তিনি জানান, গত একবছর ধরে জাপানে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের (ওসিসি) সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কি না, তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।
কোচ শুধু প্রদর্শন করা হবে জানিয়ে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, কোচটি জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে। এই কোচ যাত্রী পরিবহন বহরে যুক্ত হবে না।
ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে প্রথম মানুষ মেট্রোরেলে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করছি। সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে আসা মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে বলে যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের প্রতি র্যাকে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রীর পরিবহন করবে। তবে বেশিরভাগ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি।