শিক্ষাঙ্গন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু ৫ আগস্ট, পরীক্ষা ১৩ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ সেশনের অধীনে অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে।
ঢাবি প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামানসহ অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্যসহ অন্যান্য অনুষদের ডিনরা বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার সাথে সমন্বয় করে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও যেন যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের পরীক্ষার ডেডলাইন তৈরি করতে পারে সেটি মাথায় রেখেই এ পরীক্ষামূলক (টেনটেটিভ) সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে এ শিডিউলেই আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
ডিনস কমিটির এ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের অনলাইন ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। আর পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার)।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষাও গ-ইউনিটের (বাণিজ্য) মাধ্যমেই শুরু হবে। চ-ইউনিটের (চারুকলা) সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার), ক-ইউনিটের (বিজ্ঞান) ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার), খ-ইউনিটের ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার), ঘ-ইউনিটের (কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান) ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) এবং চ-ইউনিটের (অঙ্কন) পরীক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে।
তাছাড়া গত বছরের প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় পরিবর্তন আনার যে গুঞ্জন শোনা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে শিগগিরই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে ডিনস কমিটির বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। তবে আপাতত ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ধরন কীরূপ হবে সে বিষয়ে সামনের সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য বলেন, যেহেতু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে যে আমরা কিভাবে পরীক্ষার শিডিউল দেবো, সে অনুযায়ী তারা তাদের শিডিউল ঠিক করবেন; যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি পরীক্ষাটা দিতে পারেন। এজন্য পরীক্ষামূলক সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরীক্ষার পদ্ধতির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: হাসানুজ্জামান বলেন, আপাতত ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ধরন কীরূপ হবে সে বিষয় নির্ধারণ করতে সাব-কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সামনের সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 4 =

Back to top button