তুরস্কের সাথে সম্পর্ক গড়তে চায় ইসরায়েল
বাইডেন ক্ষমতায় বসায় ভিন্ন কারণে চাপে পড়েছে তুরস্ক ও ইসলায়েল। এ জন্য তিনি ক্ষমতায় আসায় সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে দেশ দুটি।
সম্প্রতি ইসরায়েলে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে তুরস্ক, এমন খবর বেরিয়েছে। তাতে বলা হয়, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আল মনিটরে প্রকাশিত এ খবরের পর আরেকটি গণমাধ্যম জানায়, বুলগেরিয়ায় দায়িত্ব পালন করা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইরিত লিলিয়ানকে আঙ্কারায় নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দুটি খবর নিয়েই তুরস্ক ও ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনো। তবে আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলি দৈনিক ইয়াদিউত অহারনোত দেশ দুটির সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
এতে বলা হয়, আঙ্কারার সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক স্থাপনে কয়েকটি শর্ত দিয়েছে তেল আবিব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইস্তাম্বুলে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের দপ্তর বন্ধ করা, হামাসের সামরিক শাখার মুক্তিপ্রাপ্তদের তৎপরতা বন্ধ করা।
পার্সটুডে জানায়, সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। ইসরায়েলি নীতির জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাইডেন ক্ষমতায় বসায় ভিন্ন কারণে চাপে পড়েছে তুরস্ক ও ইসলায়েল। এ জন্য তিনি ক্ষমতায় আসায় সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে দেশ দুটি। এই খবর সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রমাণ দেয় বলে ধারণা কূটনীতিকদের।
এর আগে ২০১০ সালে গাজা অবরোধ ভাঙতে ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠানো হয়ে তাতে হামলা চালিয়ে ত্রাণকর্মীদের হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আঙ্কারা।
এর দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১৬ সালে আবারো দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মাত্র দুই বছরের মাথায় তা ফের ভেঙে যায় ২০১৮ সালে।