দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা মানে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশজুড়ে চলমান ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করা মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধিতা করা। এই বিরোধিতাকারীদের কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষজন একজন আরেকজনের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এতে করোনা ঝুঁকি রয়ে যায়। ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ আমরা নই। আমাদের রাজনীতির প্রতিপক্ষ স্বাধীনতাবিরোধীরা। এই বিরোধী শক্তি দুর্গাপূজার সময় তাণ্ডব চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টসহ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির করার গভীর ষডযন্ত্র করেছে।
জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ না হলে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির হয়ে যাবে। লেখাপড়া, স্বাস্থ্যসেবাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক দিন ধরেই সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে।
‘আমেরিকা দুই হাজার, রাশিয়া ১২ থেকে ১৩শ, ইউরোপে চার থেকে পাঁচশ ও ভারত দুই থেকে তিনশ জন প্রতিদিন করোনায় মারা যাচ্ছেন। আমাদের এখন টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা হলেই একদিন আমাদের দেশে করোনা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনো দেশে করোনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
যারা এখনো টিকা নেননি তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জন্যই টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন থাকুক বা না থাকুক ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলেই টিকা নেওয়া যাবে। যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তারাও টিকা নিতে পারবেন।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।