বিচিত্র

দুই কান আগেই কেটেছিলেন, এবার নাক!

কিছু লোক শরীরে উল্কি বা ট্যাটু পছন্দ করেন। তারা ঘাড়, হাত, পিঠ বা পিছনের খাঁজে ট্যাটু করেন। কেউ কেউ আবার নিজেকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সার্জারি করেন। তবে জার্মানির ফিনস্টারওয়াল্ডের বাসিন্দা স্যান্ড্রো যা করেছেন সেটা জানলে অবাক হবেন। ট্যাটু আর প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজেকে ‘কিম্ভূত কিমাকার’ বানিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

গত বছর হঠাত্‍ই স্যান্ড্রোর মাথায় চেপেছিল, তার মুখটাকে মানুষের মাথার খুলির মতো করে তুলতে হবে। তাই ২০১৯ সালে তিনি নিজের দুই কান কেটে ফেলেছিলেন। এছাড়া তার কপাল এবং হাতের পেছনের রয়েছে ইমপ্লান্ট এবং মুখেও ট্যাটুতে ভরা।

৩৯ বছরের স্যান্ড্রো এবার ‘খুলি’ সদৃশ মুখ করে তোলার কাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে নাকের ডগা কেটে ফেলবেন এবং চোখে উল্কি আঁকাবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন।

জানা যায়, তার এই উদ্ভট শারীরিক পরিবর্তনের আগ্রহ প্রথম জেগেছিল ২০০৭ সালে। সেই সময় তিনি টিভিতে এক ব্যক্তিকে দেখেছিলেন যার মাথায় কাটা ইমপ্লান্ট করা হয়েছিল। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত চেহারা পরিবর্তনের জন্য তিনি ছয় হাজার ইউরোরও বেশি খরচ করেছেন (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকারও বেশি)।

স্যান্ড্রো স্বীকার করেন যে, শরীরের এই ধরনের চরম পরিবর্তনগুলো তার কাজ এবং সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে। বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার তাকে একটি ‘অসুস্থ ফ্রিক’ হিসাবে বিবেচনা করে। তবে লোকের কথায় তিনি কান দেন না। লোকে তাকে কিভাবে গ্রহণ করলো সেটা বিবেচ্য নয় স্যান্ড্রোর কাছে।

সূত্র : মিরর ইউকে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 5 =

Back to top button