বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আশ্রয়ণ প্রকল্পে হওয়া দুর্নীতির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবস্থান নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিকারীদের না ধরে, দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছেন।”
আজ শুক্রবার(১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প করছেন। যাঁদের ঘরবাড়ি নেই, তাঁদের ঘরবাড়ি দেবেন। সেটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এটাকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইট মেরে, হাতুড়ি মেরে, ছাগল দিয়ে এই ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এটার পেছনে যে লক্ষ-কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করছেন না। তিনি হাতুড়ি, শাবল আর ছাগলকে দোষারোপ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিলেন। অথচ যারা এই ধরনের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ লোপাট করল, ধ্বংস করল, ভাঙল, তাদের কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ধরলেন না। তিনি অন্যদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন।”
মানুষের মুক্তির কথা বললে সরকার গুম করে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, “কেউ যদি স্বাধীনতার কথা বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেন, মানুষের মুক্তির কথা বলেন, তিনি যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কথা বলেন, তবে তাঁর একমাত্র পুরস্কার এই সরকারের পক্ষ থেকে, তিনি গুম হয়ে যাবেন। দিনের বেলায় অথবা রাতের বেলায়। তাঁকে তুলে নিয়ে যাবে। তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যাবে না।”
জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করলে শেখ হাসিনা খুশি হন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “এই সরকার টিকে থাকতে হলে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বলতে হবে। কারণ, স্বাধীনতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের কোনো অর্জন নেই। যা অর্জন জিয়াউর রহমানের। সুতরাং জিয়াউর রহমানকে আক্রমণ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করলেই তো শেখ হাসিনা খুশি হন। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে যে ক্ষমতা টেকানো যায় না, এটা প্রধানমন্ত্রী কখনো উপলব্ধি করতে পারেন না।”