রাজনীতি

ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সহযোগিতায় বিএনপির ফোরাম গঠন

নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীদের আইনি ও অন্যান্য সহায়তা দিতে এবং এ অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে একটি ফোরাম গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানকে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’-এর আহ্বায়ক করা হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ তথ্য জানান।

দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়কে সদস্য সচিব করে গঠিত এ ফোরামে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মাঝ-পর্যায়ের নেতা এবং আইনজীবী, চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীসহ বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সদস্য করা হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্রের নেতৃত্বে এ ফোরামের ছয় সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আওয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন ও রুহুল কবির রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশের মানুষ নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য দেখছে যা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ‘এ জন্য বিএনপি নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো ফোরামের সাথে দলের নেতাদের একটি অংশকে যুক্ত করে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে এমন কমিটি গঠন করা।’

তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের অনেক লোমহর্ষক ঘটনা প্রভাবশালীদের কারণে আড়ালে চলে যায়। ‘ক্ষমতাসীন দল ও প্রভাবশালীরা যাতে এমন ঘটনা আড়াল করতে না পারে এবং সে জন্য আমাদের ফোরাম কাজ করবে।’

যখনই এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে তখনই ফোরাম তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা নিয়ে নির্যাতনের শিকার ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে বলে জানান গয়েশ্বর চন্দ্র।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় সেলিমা রহমান বলেন, খুন, ধর্ষণ ও পৈশাচিক বিকৃতি পুরো রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ফেলেছে। ‘অভিভাবকরা মেয়ে ও শিশুসন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারের দুঃশাসন ও জবাবদিহির অভাবে নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন যে বর্তমান সরকারের আমলে নারী ও শিশু নির্যাতন অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। কারণ অধিকাংশ ঘটনার সাথে সরকারি দলের লোকজন জড়িত। ‘বাংলাদেশ আজ ধর্ষণের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। ৯ মাসের মেয়ে শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা কেউ ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছেন না।’

সেলিমা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন ও সামাজিক অনাচারের প্রকোপের বিরুদ্ধে বিএনপির সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা এ ফোরাম গঠন করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − ten =

Back to top button