ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ২৯টি পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনলাইন সভায় অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। নির্বাচনকালে আপনাদের হাতে যে অপরিমেয় ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কেন নিশ্চিত করা যাবে না তা আমার বোধগম্য নয়। পাশাপাশি এ কথাও বলে দিতে চাই, নির্বাচনের দায়িত্বপালনে কারও কোনো শিথিলতা বরদাশত করা হবে না। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী।’
সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ অধিশাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।
মি. মাহবুব তাঁর লিখিত বক্তব্যে সংবিধানের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘এর অর্থ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতায় অংশগ্রহণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় নিশ্চয়তা, নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা, নিয়ম-নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে এই সংজ্ঞা নির্ধারণ নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত উদঘাটন। এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো সম্পর্ক নেই।’
সভায় শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, অনলাইনে সব পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ ধাপে শ্রীবরদী, শেরপুর, মেলান্দহ, নেত্রকোনা সদর, ফুলপুর, ত্রিশাল, মুন্সিগঞ্জ সদর, নরসিংদী সদর, রাজবাড়ী, কালীহাতি, গোপালপুর, ডামুড্যা, কালকিনি, নগরকান্দা, বাজিতপুর, করিমগঞ্জ ও হোসেনপুরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫ম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, নান্দাইল, ভৈরব, সিংগাইর, শিবচর, মাদারীপুর ও কালীগঞ্জ পৌরসভায় ভোট হবে।
এই নির্বচনে মোট ২৬টি পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এবং ৩০টি পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।