জাতীয় দলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাক গলানো নিয়ে কথা হয়েছে ঢের। মাঝে তা থেকে নাকি সরেও এসেছিলেন। কিন্তু কাল আবার তাঁর সাড়ম্বর ঘোষণা, জাতীয় দলে নাক গলাবেনই। তা যত সমালোচনাই হোক না কেন?
‘আপনারা আমার নাম দিয়েছিলেন, মিস্টার ইন্টারফিয়ারার (হস্তক্ষেপকারী), পেপারে দেখেছিলাম। আবারও হয়তো আমার পাশে অমন নাম পড়বে। কিন্তু করতে তো হবেই, উপায় নেই’ বলছিলেন নাজমুল। গণমাধ্যমের সমালোচনা মাথায় নিয়েও কেন জাতীয় দলে তাঁর হস্তক্ষেপের বিকল্প নেই?
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সকেই সামনে নিয়ে আসেন বোর্ড সভাপতি, ‘গত বিশ্বকাপের পর, সত্যি বললে হাতুরাসিংহে চলে যাওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে ছন্দপতন দেখতে পেয়েছি। তারপরও সাকিব একাই টেনে নিয়ে গেছে। কিন্তু তেমন কোনো টিমওয়ার্ক পাইনি, পেলে হয়তো আরেকটু ভালো করতাম। বিশ্বকাপের পর থেকে তো যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স। আমার তো মনেই হয় না, এটি বাংলাদেশ দল।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অমন অচেনা হয়ে যাওয়ার নিজের সম্পৃক্ততা কমে যাওয়ার দায় দেখছেন নাজমুল। জাতীয় দল থেকে তাঁকে ভুল বার্তা দেওয়া হয় বলেও দাবি বোর্ড সভাপতির, ‘সমস্যা হচ্ছে কী, জাতীয় দলের ক্ষেত্রে টস জিতলে কী নেব, একাদশ কী হবে, কে কত নম্বরে নামবে- আগে এ সবকিছু আমার মুখস্ত ছিল। আমার সঙ্গে আগেই কথা হয়ে যেত। সেটি এখন নেই। বরং উল্টো হয়। এখন যদি জিজ্ঞেস করি, টস জিতলে কী নেব, বলে হয়তো ফিল্ডিং নেব। খেলা শুরুর পর দেখি ব্যাটিং নিয়েছে। কী যে চলছে, আমি কিছু বুঝি না। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট থেকে এগুলো শুরু হয়েছে। তার আগের ধাক্কা খেয়েছি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। ওখানে যা কথা হলো, মাঠে দেখি সব উল্টা।’
এসব কারণেই আবার নাক গলানোর বিকল্প দেখছেন না নাজমুল, ‘সবচেয়ে বেশি দায়ী যদি কাউকে করতে হয়, সেটি আমি। আমি এসব থেকে একটু বেশি সরে এসেছিলাম; সরে আসতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, ওরা নিজেরাই ঠিক হয়ে যাবে। এখন দেখছি যে, তাতে কাজ হচ্ছে না।’
আবার তাই নাক গলানোর দাওয়াই নিয়ে আসছেন বিসিবি সভাপতি! তাতে যদি জাতীয় দলের ভাগ্য ফেরে!