অবশেষে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বাংলাদেশে
চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু হচ্ছে।
আজ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
তবে পেপ্যাল চালুর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা সালমান এফ রহমান। এ সময় তার সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শাহ আলম সরোয়ার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার একান্ত সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশে বসে অনলাইনে কাজ করে বিদেশ থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা উত্তোলনের সুবিধার্থে পেপ্যাল সার্ভিস চালুর দাবি করে আসছেন দেশের অনলাইন ফ্রিলান্সাররা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগে সোনালী ব্যাংকের সাথে পেপ্যালের চুক্তি হয়। পরবর্তীতে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে সেবা চালু করতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়েবসাইটসহ অনলাইনে অর্থ লেনদেনের প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে সোনালী ব্যাংক ও পেপ্যাল। এ নিয়ে পেপ্যালের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি আলাপ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আগের তথ্য অনুযায়ী, পেপ্যালের তিন ধরনের প্যাকেজ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৯০টি দেশ ও ২৩টি মুদ্রায় অর্থ লেনদেন ও কেনাকাটা করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেবে না সোনালী ব্যাংক। তবে মানি লন্ডারিং ঠেকাতে, গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া ট্রাভেল কোটার মধ্যে কেনাকাটা করতে হবে।
এ জন্য পেপ্যাল বিডির ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে তিনটা প্যাকেজের মধ্যে মানানসই একটি প্যাকেজ পছন্দ করতে হবে। ২০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক ফি পরিশোধ করে একাউন্ট চালু করতে হবে, সেবা থেকে উত্তোলনের অর্থের ৩-১০% পর্যন্ত পেপ্যালকে দিতে হবে।