‘শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী করেছেন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বিভিন্ন রকম প্রশংসনীয় মন্তব্য করেন আলোচকরা।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটি এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ । আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আলোচনায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিশ্বজিৎ দে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদির পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তাকে উদ্ধৃত করে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার উন্নয়নমূলক এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অনেক বাধার সম্মুখীন হলেও বর্তমানে বিশ্বে ও বাংলাদেশে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হয়ে আছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হামিদী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা এসেছে এবং উন্নয়নের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা যে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন, তাতে অচিরেই বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জীবনমানের নিরাপত্তা দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। নাওকি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা এবং তিনি মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজে তিরিঙ্ক বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রশংসা করেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সম্পাদক শাম্মী আহমেদ এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা।