বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে দেশে ফেরাতে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র
সফররত মার্কিন উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগান বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা জোরদারের আশ্বাস দিয়েছেন। মার্কিন উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার নৈশভোজ বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই ইস্যুটি উত্থাপন করলে তিনি এই আশ্বাস দেন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয় সহযোগিতা সম্প্রসারণে তাকে (শাহরিয়ার আলম) আশ্বস্ত করেছেন।’ আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বিগানের বৈঠকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ইস্যু উত্থাপন করা হয়েছে।
বিগানের সঙ্গে বৈঠকের পরে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে (খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনা) আমরা একটি সুসংবাদ পেয়েছি, তিনি (বিগান) বলেছেন যে মার্কিন এটর্নি জেনারেল বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। ’
এরআগে, বেশ কয়েকবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
সরকার এরআগে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই দুই খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করেছে। অন্য তিন পলাতক খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম এবং মোসলেহউদ্দীন খানের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
এই দুই হত্যাকারীর অবস্থান জানার পর এই দুই পলাতক খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং আইন মন্ত্রনালয় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত রয়েছে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অপর পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত তিন ঘাতককে শনাক্ত এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা বিশ্বের দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে। হত্যাকারীদের সন্ধানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিদেশে সকল মিশনকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়।