রাজনীতি

ধর্মের নামে ব্যবসা আর চলবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যা করে ঘাতকরা চেয়েছিল এদেশ থেকে, বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে। এদেশের যত ইতিহাস তা বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি এর স্বাধীনতা হলে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে ব্যক্তি পর্যায়; কিন্তু পরিবারসহ হত্যাকান্ড পৃথিবীতে বিরল। কি দোষ করেছিল ছোট শিশু রাসেল? বাংলার মানুষ জানতে চায়। কি অন্যায় করেছিল? সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানতে চায়। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। কেউ আমাদের পথ রোধ করতে পারবেনা।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে ব্যবসা বাংলার মাটিতে আর চলবেনা। ইসলাম নিয়ে ফতোয়া চলবেনা। একাত্তরের দালালরা আমাকে নিয়ে বিরোধীতা করে,উকুশপুত্তলিকা দাহ করে। আমাকে কেউ দাবায় রাখতে পারবেনা,সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বলুন। বাংলার মাটিতে এমনশক্তি জন্ম হয়নি যে আমাকে দাবায় রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের পরে এদেশ ছিল বিচারহীনতার দেশ। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়া, আর খালেদা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। জিয়া ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারী। পনের আগষ্টের এক নাম্বার আসামী। এই বাংলার মাটিতে অনেক বিচার হয়েছে। খুনি জিয়ার মরনোত্তর বিচারও হবে। জিয়ার নামে কোনো স্থাপনা এদেশে থাকবে না। জিয়া উদ্যানে জিয়ার মাজার থাকবেনা। জিয়া কি পীর ছিল? বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরো ও বলেন, বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, কেউ কেউ ক্ষমা চেতে বলেছেন! সাবধান হয়ে যান। ক্ষমা চাইলে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাছে ক্ষমা চাবো। ধর্মান্ধ ইসলাম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের কথায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংসদ সদস্য হিসেবে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে। কুশপুত্তলিকা দাহ না করে সাহস থাকলে সামনে আসার আহবান জানান তিনি।

একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে জাতির পিতার অস্তিত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই সন্তান এই বাংলার সতের কোটি মানুষের আশা আঙ্খার প্রতিক মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আর বিএনপি মিডিয়া ডেকে ঘড়ের মধ্যে বসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করে। এইসব রাজাকারদের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেয় হবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী মো.শাহজাহান খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বলরাম পোদ্দার।

পরে প্রতিমন্ত্রী চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৫ খুনী বিদেশে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। তাদের জাতির পিতা নাকি খুনী জিয়া। এই সব খুনীদের বিচার এদেশের মাটিতে হবেই। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স.ম গোলাম কিবরিয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 14 =

Back to top button