সমাজচিন্তক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, “পরীমনির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেওয়া উচিত নয়। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়তো আরও বিলম্বিত হতো। বাংলাদেশ তালেবানি রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে”।
শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নীরব ভূমিকা আছে। পরীমনিকে মাদকের মামলায় গ্রেফতার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। অন্যায়ভাবে তাকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আদালতের এই ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়।
বিনোদন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরীমনিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে। তা না হলে এদেশের শোবিজ পেশার সঙ্গে যুক্তরা এই পেশায় টিকে থাকতে পারছে না। পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। তবে পরীমনির পক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও বর্তমানে জনমতের প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে।