২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশকে উপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা এবং তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। ভবিষ্যতে পুলিশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ড্রোন ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হবে।
বুধবার পুলিশ সপ্তাহের চতুর্থ দিনে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সম্মেলনে এসব ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এতে পুলিশ কর্মকর্তারা বাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
আইজিপি দক্ষ ও সময় উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান।
সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়নে বিভিন্ন ইউনিট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেখানে পুলিশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংযুক্ত করার বিষয়টি উঠে আসে।
সম্মেলন শেষে ডিআইজি (অপারেশন্স ও মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মোঃ হায়দার আলী খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, সন্ত্রাস মোকাবেলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী জনবান্ধব ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পুলিশের আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন, সাইবার অপরাধ দমনে স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট প্রতিষ্ঠা, দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার সুবিধার্থে আলাদা মেডিকেল সার্ভিস গঠন, অনলাইন জিডি আরও সহজতর ও বিস্তৃত করা, জনগণের আইনি সহায়তা আরও সুগম করার লক্ষ্যে সার্কেল অফিসের কার্যক্রম বেগবান করা, পুলিশ সদস্যদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ২০৪১ সালের উপযোগী করে হাইওয়ে পুলিশকে গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।