কর্পোরেট

বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৩.০-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

উদ্ভাবনী তরুণদের জন্য আয়োজিত ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর তৃতীয় আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবনী তরুণদেরকে নতুন পরিকল্পনা, নতুন উদ্যোগ ও নতুন সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এবারের আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর অ্যাক্টিং সিইও ও চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৭,০০০ প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কয়েকটি ধাপযুক্ত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রতিযোগীদের বেছে নেওয়া হয়। বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গ্রুমিং সেশনে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়। এই প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত মোট ৫টি দল গ্র্যান্ড ফিনালেতে তাদের ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। উপস্থাপিত পরিকল্পনাগুলি মূল্যায়ন করে  সেরা তিনটি দলকে নির্বাচিত করে বাংলালিংক-এর জুরি প্যানেল। তাৎক্ষণিকভাবে যানবাহনের সার্বিক অবস্থা মনিটর করার ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বিজয়ী হয় টিম সিলভার লাইনিং। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে টিম লাস্ট মিনিট ও টিম থ্রি অ্যান্ড অ্যা হাফ মেন। দল দুইটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দ্রব্য যাচাই ব্যবস্থার উপর তাদের ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।

বিজয়ী দল পাবে অ্যামস্টার্ডামে  অবস্থিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন ও বাংলালিংক-এর  “স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার”-এ যোগদানের সুযোগ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ দলও এই প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগসহ পাবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্য বাংলালিংক-এর “অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম(এআইপি)”-এ সরাসরি যোগদান করার পাশাপাশি “লার্ন ফ্রম স্ট্রার্টআপস” ও “ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট প্রোগ্রামস”-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে।

বাংলালিংক-এর অ্যাক্টিং সিইও ও চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন,“টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে এখন সারা বিশ্বে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমরা যদি এই তরুণদের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই উদ্ভাবনী হতে উৎসাহ দিতে পারি, তাহলে উদ্ভাবনী উপায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশেকে এগিয়ে নিতে তারা আরও বেশি সমর্থ হয়ে উঠবে। বাংলালিংক তরুণদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতেও তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।”

এই গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর তৃতীয় আসরের সমাপ্তি ঘটেছে। ২০১৭ সালে প্রথম বারের মতো এই উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলালিংক। এবারের আয়োজনের রেডিও পার্টনারের ভূমিকা পালন করেছে রেডিও ফুর্তি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =

Back to top button