জাতীয়

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, পতাকা বৈঠক

আজ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দু’জনের লাশ পাঠালেও একজনের শুধু ছবি পাঠিয়েছে।

আজ পশ্চিম সীমান্ত জেলা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক ওমিদুল (১৯) উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, রোববার (১৮ অক্টোবর) ভোরের দিকে বিজিবির একটি টহল দলের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৯ নম্বর মেইন খুঁটির কাছে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের টহল আরও জোরদার করে। এরপর ওই সীমান্ত খুঁটির কাছে বিজিবি সদস্যরা ভারতের মালুয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডেন্টের গাড়িসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স দেখতে পান। তার কিছুক্ষণ পর বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তর থেকে মোবাইল ফোনে গুলিতে নিহত যুবকের ছবি তুলে সেটি বিজিবির কাছে পাঠায়। বিজিবি ওই ছবি ঠাকুরপুর গ্রামবাসীদের দেখালে নিহত ওমিদুলের বাবা সেটা তার ছেলে বলে নিশ্চিত করে।

বিজিবির কাছে ছবি পাঠিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা জানায়, নিহত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে। ওই সময় বিএসএফ গুলি ছুড়লে সে নিহত হয়। ওদিকে, পূবের জেলা ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ভারত সীমান্তবর্তী গুথুমা এলাকায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রোববার সকালে দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে বিএসএফ।

স্থানীয়রা জানায়, পরশুরাম পৌরসভার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন গুথুমা গ্রামের কালাধন সরকারের দুই ছেলে মো. নুরুল করিম (২৮) ও মো. স্বপন (২৪) রোববার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাংলাদেশ-ভারতের নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুই ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে সংক্ষিপ্ত পতাকা বৈঠকের পর দুই ভাইয়ের লাশ বিজিবি’র কাছে  হস্তান্তর করে বিএসএফ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − three =

Back to top button