BreakingLead Newsজাতীয়

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফার্নেস অয়েল সংকট, লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা

# ফার্নেস অয়েল আমদানিতে স্থবিরতা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত, লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি
# বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন বিপিসি-পিডিবি সংশ্লিষ্টরা
# সরকারের কাছে পাওনা ১৮ হাজার কোটি টাকা, ঋণপত্র খুলতে পারছেন না আইপিপিগুলো
# ১৮ জুনের আগে দেশে আসছে না বিপিসির ফার্নেস অয়েল

দেশের ডলার সংকট কাটেনি এখনো। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার দিতে পারছে না। ফার্নেস অয়েল আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে ব্যর্থ হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (আইপিপি)। তারা ফার্নেস অয়েলের জন্য মুখাপেক্ষী হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দিকে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ করতে পারছে না বিপিসি। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। ফলে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা।

ফার্নেস অয়েল আমদানির এ জটিলতা সহসা দূরও হচ্ছে না। যে কারণে সামনের দিনগুলোতে লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিপিসি-পিডিবি সংশ্লিষ্টরা। আইপিপিগুলো বলছে, সরকারের কাছে তাদের বকেয়া পাওনা ১৮ হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ও লোডশেডিং নিয়ে অনেকটা লুকোচুরি খেলছে পিডিবি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে দায়িত্বে থাকা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা লোডশেডিং বেশি হচ্ছে না দাবি করলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সময়ে সময়ে চাহিদার অর্ধেকও পাওয়া যাচ্ছে না বিদ্যুৎ। সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তাদের। আবার পিডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিদ্যুতের চাহিদা ও লোডশেডিং নিয়ে রয়েছে মতের অমিল।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার এবং সদস্য (বিতরণ) মো. মিজানুর রহমানের সঙ্গে। এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যুতের জোগান ধীরে ধীরে বাড়বে। শুধু জ্বালানি নয়, আমাদের প্ল্যান্টগুলোর মেশিনেও কিছু ত্রুটি রয়েছে। শনিবার পিক আওয়ারে সাড়ে ১৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

চাহিদার অর্ধেকের কম বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেন পিডিবির এই বোর্ড সদস্য। তিনি বলেন, আমরা গত মাসে সর্বাধিক ১৫ হাজার ৭শ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড করেছি। এখন ওই চাহিদার চেয়ে তো আর বেশি চাহিদা থাকার কথা নয়। বিতরণ বিভাগ থেকে যে চাহিদা দেওয়া হয়, সেই তথ্য অনুযায়ী হিসাব করি।

এসময় বিতরণ বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদার পূর্বাভাসে ভুল রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের অনেক ত্রুটি আছে। তারা ম্যানুয়ালি ফোরকাস্ট (পূর্বাভাস) করে। তাতে ডিমান্ড ফোরকাস্টে কিছুটা ভুল আছে। অটোমেশন হলে হয়তো সেই সমস্যা দূর হবে। মূলত ডলার সংকটের কারণে ফার্নেস অয়েল আমদানিতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়ছে।

পিডিবির সদস্য (বিতরণ) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। ফোরকাস্টে ত্রুটি থাকতে পারে। এতে নিরুপিত চাহিদা ১০ শতাংশের কম-বেশি হতে পারে, তার বাইরে নয়।

তিনি বলেন, আমাদের যে চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট, তাতে ১০ শতাংশ যোগ-বিয়োগ হলে সাড়ে ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা থাকে। কিন্তু আমরা উৎপাদন করছি ১২ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। তবে সন্ধ্যার সময় একটু বেশি উৎপাদন হয়।

মাঠপর্যায়ে বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকের কাছাকাছি নেমে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, বড় সিটিগুলোতে (মহানগরী) আমরা যেহেতু লোডশেডিং করতে পারছি না, এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটির বাইরে কিছু লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু এর পরিমাণ অতো বেশি নয়। পিক আওয়ারে সব মিলিয়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের প্রভাবে আমাদের দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তরল জ্বালানি ও কয়লা আমদানি করতে হয়। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও ফার্নেস অয়েল কিংবা কয়লা আমদানি করতে গেলে তাদেরও তো ডলার দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ডলার দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে তারা এলসি খুলতে পারছে না। শুধু ডলারের কারণে আমাদের জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। তরল জ্বালানি ও কয়লার স্বল্পতা থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য উন্নত দেশের চেয়েও আমরা অনেক ভালো আছি।

তবে এই দুই কর্মকর্তার তথ্যের সঙ্গে পিডিবির লোডশেডিংয়ের তথ্যে গরমিল রয়েছে। বড় সিটিগুলোতে লোডশেডিং তেমন হচ্ছে না দাবি করলেও চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় সব জায়গায় প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। রাত বিরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা লোডশেডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন।

লোডশেডিং নিয়ে চট্টগ্রামে পিডিবির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন চাহিদার ৪২ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। সোমবার পাওয়া গেছে ৫০-৬৫ শতাংশের মতো। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, রোববার চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪২৭ মেগাওয়াট। পিডিবির দাবি অনুযায়ী, ওইদিন ৩২০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয় চট্টগ্রামে। একই দিন চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন হয় ১৭৫২ মেগাওয়াট।

এ ব্যাপারে পিডিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখন পিক আওয়ারে ১৫শ মেগাওয়াটের কমবেশি হয়। আবার দিনের বেলায় চাহিদা কিছুটা কম থাকে। এখন পিক আওয়ারে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

অর্ধেকের কাছাকাছি বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে এমন তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সার্বিকভাবে সঠিক নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো এলাকায় হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে সব জায়গায় এত লোডশেডিং হচ্ছে না। বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংও ওঠা-নামা করে।

এদিকে চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফার্নেস অয়েল সরবরাহের জন্য বিপিসিকে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টনের চাহিদা দেয় পিডিবি। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫৩ হাজার ৫শ টনের বিপরীতে ৬৯ হাজার ৮৯৭ টন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৩ হাজার ৩শ টনের বিপরীতে ৫৪ হাজার ৪০৬ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল নেয় পিডিবি। দুই মাসেই নেয় ২৭ হাজার ৫০৩ টন বেশি ফার্নেস অয়েল। পরে গত ২৩ মার্চ পিডিবিকে নতুন করে চিঠি দিয়ে আগের দুই মাসের সরবরাহ করা চাহিদার অবশিষ্ট ৬ লাখ ৪০ হাজার টনের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ২ লাখ ৮০ হাজার টনসহ মোট ৯ লাখ ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দেয় পিডিবি। এর মধ্যে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাসে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আইপিপি) জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহের চাহিদা দেওয়া হয়।

এতে আইপিপিগুলোর জন্য এপ্রিল মাসে ৭৫ হাজার টন, মে মাসে ৫৫ হাজার টন, জুন মাসে ৫৫ হাজার টন, জুলাই মাসে ৪৫ হাজার টন, আগস্ট মাসে ১৫ হাজার টন, সেপ্টেম্বর মাসে ২০ হাজার টন এবং অক্টোবর মাসে ১৫ হাজার টন ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ৬ লাখ ৪০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহের জন্য বিপিসিকে অনুরোধ করে পিডিবি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে পিডিবির চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের আমদানির পাশাপাশি ১০-২০ শতাংশ ফার্নেস অয়েল বিপিসি থেকে নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন তারা। ওই শর্ত অনুযায়ী ১০ শতাংশ ফার্নেস অয়েল বিপিসি থেকে সরবরাহ করার প্রয়োজন হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার সংকট এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে অনীহায় বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নিজ দায়িত্বে ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে পারছে না। তাই বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জ্বালানি সংকটের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাস ওয়ারি চাহিদা অনুযায়ী ফার্নেস অয়েল সরবরাহের জন্য বিপিসিকে অনুরোধ করা হয়।

অন্যদিকে আমদানি সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে ফার্নেস অয়েল আমদানি শুরু করে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এরপর আইপিপিগুলোতে ফার্নেস অয়েল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিপিসি। আইপিপিগুলোকে ফার্নেস অয়েল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও শর্ত ছিল ১০-২০ শতাংশ ফার্নেস অয়েল বিপিসি থেকে নিতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কম থাকলে চুক্তির শর্ত মোতাবেক চাহিদার ১০-২০ শতাংশ জ্বালানি বিপিসি থেকে নেওয়ার কথা থাকলেও নিতেন না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে গেলে আইপিপিগুলো সেই শর্ত কাজে লাগিয়ে বিপিসি থেকে ফার্নেস অয়েল নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এলসি খুলতে ব্যর্থ হয়ে পিডিবির মাধ্যমে বিপিসির দ্বারস্থ হচ্ছে আইপিপিগুলো।

দেশের বিদ্যুৎখাতের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ও সামিট বরিশাল পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিচালক ফয়সাল করিম খান জাগো নিউজকে বলেন, আইপিপিগুলো অর্থ সংকটে রয়েছে। পিডিবির কাছে বিগত ছয়মাসের বিল বকেয়া পড়েছে। এতে ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো বকেয়া হয়েছে। এতে ব্যাংক ইনস্টলমেন্টগুলো নিয়মিত দিতে পারছে না আইপিপিগুলো। এতে জ্বালানি আমদানি ও খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আইপিপিগুলোর জন্য দ্রুত অর্থ ছাড়ের দাবি জানান। তিনি বলেন, ফার্নেস অয়েল আমদানি এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে এলসি খোলার জন্য আইপিপিগুলোর হাতে নগদ টাকা নেই। আবার এলসি খুললেও এসব এলসি নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।’

তবে মার্চ মাসে পিডিবি চাহিদা দিলেও সে অনুযায়ী ফার্নেস অয়েল সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিপিসি। এ নিয়ে বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে জুন মাসের শুরুতে ফার্নেস অয়েল আমদানির কোনো চালান দেশে আসছে না। এতে ফার্নেস অয়েলের মজুতও আশংকাজনক হারে কমে গেছে। এ নিয়ে বিপিসির কেউ মুখ খুলছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এপ্রিল মাসে এক লাখ ৪০ হাজার টন এবং মে মাসে এক লাখ ৩০ হাজার টন ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ছিল পিডিবির। এর মধ্যে মে মাসেও ৭৬ হাজার টনের মতো সরবরাহ দিতে পেরেছে বিপিসি।

সবশেষ গত সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, বিপিসিতে ফার্নেস অয়েলের মজুত দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১২৭ টনে। চলতি জুন মাসের ১৮ তারিখের আগে ফার্নেস অয়েলের কোনো চালান দেশে আসছে না। চলতি জুন মাসে এক লাখ ২০ হাজার এবং জুলাই মাসেও এক লাখ ১০ হাজার টন ফার্নেস অয়েলের চাহিদা রয়েছে পিডিবির।

এ বিষয়ে জানতে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন্স ও পরিকল্পনা) এবং সরকারের অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া মেলেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 10 =

Back to top button