Lead Newsআন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

বিধিনিষেধ আরও শিথিল করছে ইউরোপ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও শিথিল করতে যাচ্ছে।

সোমবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

বিধিনিষেধ শিথিলের এ পর্যায়ে ইতালিতে পানশালা এবং চুলকাটার দোকানসহ প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ফের চালু হবে।

মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার বাইরের অঞ্চলে বিধিনিষেধ শিথিল করবে স্পেন। সর্বাধিক ১০ জন দল বেঁধে পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে।

দৈনিক মৃত্যু কমতে থাকায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৭ মে) কোভিড-১৯ রোগে ইতালিতে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়, যা মার্চে লকডাউন শুরুর পর সর্বনিম্ন। ২৭ মার্চ দেশটিতে সর্বাধিক নয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

লকডাউনের পর রোববার প্রথমবারের মতো স্পেনে দৈনিক মৃত্যু একশ’রও কম ছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসতর্ক হলে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখে দিতে পারে।

সোমবার থেকে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে বিধিনিষেধ আরও কমে আসবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেস্তোরাঁ, পানশালা, ক্যাফে, চুলকাটার দোকান এবং অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফের চালু হবে ইতালিতে।

ক্যাথলিক চার্চে সমবেত প্রার্থনার সুযোগ থাকবে। তবে প্রার্থনাকারীদের মাস্ক পড়তে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন।

এ সপ্তাহের শেষে স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবেন। সোমবার থেকে রেস্তোরাঁয় ও পানশালায় বসে খাওয়ার সুবিধা চালু হবে কিন্তু একইসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ অবস্থান করতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে।

মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাসহ স্পেনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ বজায় থাকবে। তবে ছোট কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।

রোববার স্পেনের জরুরি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ফার্নান্দো সাইমন বলেন, ‘ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে এ দেশ। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো সংক্রমণ শুরুর ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি।’

ইউরোপের অন্য দেশ, যেমন বেলজিয়ামে সোমবার থেকে কঠোর নিয়ম মেনে খুলবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া, পর্তুগাল, গ্রিস, ডেনমার্ক এবং আয়ারল্যান্ডও বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৪৬ লাখেরও বেশি এবং তাদের মধ্যে ৩ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two − 1 =

Back to top button