BreakingLead Newsআন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে ১৫ মাসে সর্বনিম্নে তেলের দাম

বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা আর মার্কিন সুদের হারের সম্ভাব্য বৃদ্ধি বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কা তৈরি করেছে। এর ফলে জ্বালানির চাহিদাও কমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব উদ্বেগ থেকে সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

অস্থিতিশীল বাজারে সোমবার অপরিশোধিত মে মাসের জন্য ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৭০ দশমিক ৯০ ডলারে নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) এপ্রিল মাসের অপরিশোধিত তেলের দামও ১ দশমিক ৮৮ ডলার কমেছে। এর ফলে এই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল কমে দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৮৬ ডলারে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর সোমবার ব্রেন্ট এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। ডব্লিউটিআইয়ের দাম প্রতি ব্যারেল ৬৫ ডলারেরও নিচে নেমে গেছে। ব্যাংকিং খাতের সংকট গভীর হওয়ায় উভয় বেঞ্চমার্কে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে।

সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে আরেক বৃহৎ ব্যাংক ইউবিএস কিনে নেওয়ার ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছানোর পরও তেলের দাম সর্বনিম্নে নেমেছে। তবে ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভঙ্গুর রয়েছে এমন ইঙ্গিতের মাঝে সোমবার পুঁজিবাজারে ব্যাংকিং স্টক এবং বন্ডে পতন ঘটছে।

চুক্তিটি ঘোষণা করার পর মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বাজারের তারল্য বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য ব্যাংককে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ব্যাডেন মুর বলেছেন, বাজারের মনোযোগ এখন ব্যাংক খাতের অস্থিরতা এবং মার্কিন ফেডারেল ব্যাংকের সুদ হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার দিকে রয়েছে।

রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদের মতে, সাম্প্রতিক ব্যাংক খাতের অস্থিরতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আগামী ২২ মার্চ সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু ব্যাংকের নির্বাহীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আপাতত আর্থিক নীতির কঠোর প্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে সুদ হার বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এদিকে, বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্র উৎপাদনকারী যারা ওপেক প্লাস নামে পরিচিত, তাদের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩ এপ্রিল। এর আগে, গত অক্টোবরে এই জোটের সদস্যরা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রতিদিন ২ মিলিয়ন ব্যারেল কমানোর ব্যাপারে রাজি হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − one =

Back to top button