খোলা জানালা

বেলকনি থেকে দেখা বাংলাদেশ (ভিডিওসহ)

সুপন রায় দেশের একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক। সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণেও যিনি বরাবরই এগিয়ে। তাঁর ক্ষুরধার লেখনীতে ভোরের কাগজ-প্রথম আলোর পাঠককূল যেমন বিমোহিত হয়েছেন, তেমনিই ইটিভি-এনটিভি-যমুনা টিভি – যেখানেই গিয়েছেন স্বীয় বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনায় আবিষ্ট করে রেখেছেন দর্শক-শ্রোতাদেরকে। পূর্বানুমতিসাপেক্ষে পজিটিভ নিউজের পাঠকদের জন্য আজ তুলে ধরা হলো বর্তমান করোনাচিত্র ও বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে সিনিয়র এ সাংবাদিকের তেমনই এক বিশ্লেষণ যা তিনি শেয়ার করেছেন নিজের ফেইসবুক ওয়ালে।

বেলকনি থেকে দেখা বাংলাদেশ

–সুপন রায়–

“আব্দুর রহমান ! বয়স ৪৮ ! ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ! বড় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত ! বহু কষট করে ধার দেনা করে, বিয়ের কথা পাকা করেছিলেন ! আচমকা করোনা এসে, পাকা বিয়ে নষ্ট করে দিল! চোখে- মুখে সরষে ফুল দেখা আব্দুর রহমানের আর চলছে না ! অসুস্হ শরীরে, ছোট মেয়েকে সঙ্গে করে, বেরিয়ে পড়লেন তিনি ! থাকেন বিহারী ক্যাম্পে !

তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, রহমানের জন্ম ঢাকা ক্যাম্পে ! তাঁর আদি নিবাস সৈয়দপুর! ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর, বাবা- মা সৈয়দপুর ছেডে ঢাকায় বসত গড়েন ! এখানেই তাঁর জম্ম ! বাবার কেনা ঘর, দাদা- দাদী আচমকা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে চলে যান পাকিস্তান ! ওই ধাক্কা আজো কাটিয়ে উঠতে পারেন নি রহমান ! সবই তাঁর ভাষ্য মতো!

ক্যাম্পে সরকারের পাঠানো ত্রান প্রতিদিন আসছে ! তিনিও কমপক্ষে ২০ জায়গায় নাম লিখিয়েছ্ন ! কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি চালের কনাও পাননি তিনি ! তাই, প্রতিবন্ধী হয়েও তাঁকে নামতে হল পথে !

বললাম, যা যা বললেন, সবই সত্য কিনা ? নাকি, সবই কেবল সুযোগ তৈরীর বানানো করুন গল্প ?

তিনি উত্তরে বললেন, ‘ মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, এ মাটিতেই আবার যাব চলে, মিথ্যা বললে মাটি নেবে না’ ! এ কথার পর প্রশ্ন করবার ইচ্ছে আর অবশিষ্ট থাকে না !

‘বেলকনি থেকে দেখা বাংলাদেশ’ – এ, ক্ষুধার গল্পই শুধু, ঘনীভূত হচ্ছে!”

আব্দুর রহমান ! বয়স ৪৮ ! ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ! বড় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত ! বহু কষট করে ধার দেনা করে, বিয়ের কথা পাকা করেছিলেন ! আচমকা করোনা এসে, পাকা বিয়ে নষ্ট করে দিল! চোখে- মুখে সরষে ফুল দেখা আব্দুর রহমানের আর চলছে না ! অসুস্হ শরীরে, ছোট মেয়েকে সঙ্গে করে, বেরিয়ে পড়লেন তিনি ! থাকেন বিহারী ক্যাম্পে ! তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, রহমানের জন্ম ঢাকা ক্যাম্পে ! তাঁর আদি নিবাস সৈয়দপুর! ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর, বাবা- মা সৈয়দপুর ছেডে ঢাকায় বসত গড়েন ! এখানেই তাঁর জম্ম ! বাবার কেনা ঘর, দাদা- দাদী আচমকা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে চলে যান পাকিস্তান ! ওই ধাক্কা আজো কাটিয়ে উঠতে পারেন নি রহমান ! সবই তাঁর ভাষ্য মতো! ক্যাম্পে সরকারের পাঠানো ত্রান প্রতিদিন আসছে ! তিনিও কমপক্ষে ২০ জায়গায় নাম লিখিয়েছ্ন ! কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি চালের কনাও পাননি তিনি ! তাই, প্রতিবন্ধী হয়েও তাঁকে নামতে হল পথে ! বললাম, যা যা বললেন, সবই সত্য কিনা ? নাকি, সবই কেবল সুযোগ তৈরীর বানানো করুন গল্প ? তিনি উত্তরে বললেন, ‘ মাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, এ মাটিতেই আবার যাব চলে, মিথ্যা বললে মাটি নেবে না’ ! এ কথার পর প্রশ্ন করবার ইচ্ছে আর অবশিষ্ট থাকে না ! ‘বেলকনি থেকে দেখা বাংলদেশ’ – এ, ক্ষুধার গল্পই শুধু, ঘনীভূত হচছে !

Posted by Supan Roy on Monday, May 4, 2020

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 2 =

Back to top button