আন্তর্জাতিকভাইরাল

মধ্যপ্রাচ্যে চলছে রমরমা দাস ব্যবসা, বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন!

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের রাস্তাগুলোতে দেখা মিলবে না এসব ভাগ্যাহত নারীদের। তাদেরকে প্রায়ই পাওয়া যায় বদ্ধঘরে। সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত তারা।

গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল, মাইক্রোসফটের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করেই কিছু ডলার খরচ করেই কেনা যায় সহজেই। ঠিক এভাবেই শুধু কুয়েতই নয়, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলছে রমরমা দাস ব্যবসা।

বিশেষ করে ‘যৌনদাসী’ হিসেবে নারীর কেনাবেচা। মধ্যযুগের বর্বরতা আধুনিক যুগে এসে পেয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল রূপ। সম্প্রতি বিবিসি নিউজ অ্যারাবিক’র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দাস ব্যবসার এই চিত্র।

দাসী হিসেবে নারীদের বিক্রির জন্য দেয়া হয় চটকদার বিজ্ঞাপন। সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে তাদের কিনে নিতেও আছে প্রতিযোগিতা। একবার টাকা খরচ করে কিনলেও ক্ষতি নেই, চাহিদা পূরণের পর আবার বিক্রি করে উঠিয়ে নেয়া যাবে সেই বিনিয়োগ।

খদ্দের সেজে নারী কেনাবেচার এমনই বাজার প্রত্যক্ষ করেছেন ওয়েন পিনেল ও জেস কেলী। অ্যাপের মাধ্যমে নারীদের বিক্রি করেন এমন ৫৭ জন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তারা।

প্রায় এক ডজনেরও বেশি বিক্রেতার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান প্রতিবেদকরা। মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত ও সৌদি আরব নারী কেনাবেচার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বাজার।

ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর ও গুগলের প্লে-স্টোরে থাকা অ্যাপ দিয়ে বিকিকিনি চলে দাসীদের। কুয়েতে দাসীদের কেনাবেচার জন্য জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে ‘ফর সেল’।

সৌদিতে আরবে এমনই একটি অ্যাপের নাম ‘হারাজ’। এছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে দাসী বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে যাবতীয় যোগাযোগ ও লেনদেন সারা হয় ব্যক্তিগত মেসেজিংয়ের মাধ্যমে। এসব মাধ্যমে দুই থেকে তিন হাজার মার্কিন ডলারে সাধারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো বেচাকেনা চলে হতভাগ্য নারীদের।

নারীদের শুধু বিক্রি নয়, তাদের ‘বশে’ রাখার কৌশলও শিখিয়ে দেন বিক্রেতারা। তারা জানান, নারীদের এই নরক থেকে বের হওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিতে শুরুতেই কেড়ে নেয়া হয় তাদের পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন। এরপর নিষিদ্ধ করা হয় বাড়ির বাইরে যাওয়া। সামান্য খাবার দিয়ে কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 1 =

Back to top button