বিবিধ

মানুষের অশ্রু পাখির চোখে

দুঃখ-বেদনায় মানুষ কাঁদে। অতি সুখেও অশ্রু ঝরে। অন্যান্য প্রাণী প্রজাতিতেও একই ঘটনা ঘটে কি না, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা এখনো চলছে। তবে ব্রাজিলের গবেষকেরা বলেছেন, মানুষের অশ্রুর সঙ্গে পাখি ও সরীসৃপের অশ্রুর যথেষ্ট মিল রয়েছে।

নতুন গবেষণা নিবন্ধটি  সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ফ্রন্টিয়ার্স ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স সাময়িকী। গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা সাতটি প্রাণী প্রজাতি থেকে অশ্রু সংগ্রহ করেছিলেন। এসব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ম্যাকাউ, বাজ পাখি, প্যাঁচা ও টিয়া এবং কচ্ছপ, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে পাওয়া যায় এমন এক প্রজাতির কুমির ও সামুদ্রিক কচ্ছপ।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন ব্রাজিলের বাহিয়া অঙ্গরাজ্যের সালভাদোরের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব বাহিয়ার ভেটেরিনারি সায়েন্সের অধ্যাপক আরিয়েন ওরিয়া। তিনি বলেন, অধিকাংশ প্রাণী প্রজাতিই দৃষ্টিশক্তির ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। বিশেষ করে বনে-জঙ্গলে দৃষ্টিশক্তি ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়। দৃষ্টিশক্তিহীন সামুদ্রিক কচ্ছপ কিছুতেই বাঁচতে পারবে না।

মানুষেরও দৃষ্টিশক্তির জন্য সবচেয়ে জরুরি স্বাস্থ্যকর ‘ওকুলার সারফেস’। এটি মূলত কর্নিয়া, অশ্রু, চোখের পাতাসহ চোখের বাইরের স্তর। নতুন গবেষণায় পাখি ও সরীসৃপের সাতটি প্রজাতির সঙ্গে মানুষের অশ্রুর তুলনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মানুষের অশ্রুতে যে ধরনের উপাদান বিদ্যমান, ওই প্রাণীগুলোর অশ্রুতেও অনেকটা তা-ই রয়েছে। আবার মানুষের অশ্রুর সঙ্গে তাদের অমিলও রয়েছে। সূত্র – প্রথম আলো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =

Back to top button