মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষা হাইকোর্টের
জেএমআই গ্রুপের এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপনার জন্য বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মারুদ রেজা।
পরে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রিটের শুনানি করে মামলাটি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে উপস্থাপনার জন্য বলেছেন আদালত। ওই ঘটনায় যেহেতু সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেহেতু সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাবমিট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন আদালত।’
এর আগে গত ১৪ মে জেএমআই গ্রুপের এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্য এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় সরকার। তারই প্রেক্ষাপটে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্ক নামে ২০ হাজার ৬০০ মাস্ক সরবরাহ করে। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, এই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়। বরং সাধারণ মাস্ক সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে, যেটা স্বীকারও করেছে জেএমআই গ্রুপ।
কিন্তু অদ্যাবধি এই ধরনের প্রতারণার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য কোনও ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিধায় জেএমআই গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি তথা জেএমআই গ্রুপের মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাইয়ের এবং ম্যানুফ্যাকচারিং লাইসেন্স সাসপেন্ড করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উক্ত রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআরের পরিচালক, সিএমএসডি’র পরিচালক এবং জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে বিবাদী করা হয়।