যে আমল করলে কখনই দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অন্তিম শয্যায় শায়িত থাকাকালীন হজরত ওসমান (রা.) তাঁকে দেখতে গেলেন।
তখন ওসমান রাঃ ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ এর মাঝে কিছু কথোপোকথন হয়, সেটা ছিল নিম্নরুপ-
হজরত ওসমান: আপনার অসুখটা কি?
হজরত ইবনে মাসউদ: আমার পাপসমূহই আমার অসুখ।
হজরত ওসমান: আপনার ইচ্ছাসমূহ কি?
হজরত ইবনে মাসউদ: আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি।
হজরত ওসমান: আমি আপনার জন্যে কোন চিকিৎসক ডেকে পাঠাব কি?
হজরত ইবনে মাসউদ: চিকিৎসকই তো আমাকে রোগাক্রান্ত করেছেন।
হজরত ওসমান: আমি আপনার জন্যে সরকারী বায়তুল মাল থেকে কোন উপহার পাঠিয়ে দেব কি?
হজরত ইবনে মাসউদ: এর কোন প্রয়োজন নেই।
হজরত ওসমান: সরকারী উপহারগুলো গ্রহণ করুন কেননা সেগুলো আপনার পর আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে।
হজরত ইবনে মাসউদ: আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার কন্যারা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমন চিন্তা করি না। কারণ, আমি কন্যাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতিরাত্রে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে।
আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনও উপবাস করবে না।’
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তাকে কখনোই দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না।
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)